বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(বিডা) এর ওয়ান স্টপ সার্ভিস লিংকঃ https://bidaquickserv.org/
* বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনার কারণ সমূহকে প্রধানতঃ তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।
*কারিগরী।
*অকারিগরী।
*প্রাকৃতিক।
দুর্ঘটনার কারিগরী কারণসমূহঃ
১. বৈদ্যুতিক লাইনে কাজ করার সময় সাট-ডাউন গ্রহণ না করা।
২. অনিয়মতান্ত্রিক সাট-ডাউন গ্রহন।
৩. ভুল সাট-ডাউন।
৪. ফাজিং টেষ্ট /ভোল্টেজ টেষ্টার দ্বারা বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া।
৫. সোর্স ও লোড সাইডে সঠিক মানের তার দ্বারা অস্থায়ী গ্রাউন্ডিং না করা।
৬. সাইড কানেকশন, ডুয়েল সোর্স এবং জেনারেটর/বিকল্প সোর্স/অন্য পবিস এর
সোর্স ইত্যাদি থাকা এবং কাজের সময় লাইন ক্যাপাসিটর ডিসচার্জ না করা।
৭. ফিউজ কাট-আউটের ব্যারেল নীচে না নামিয়ে ঝুলিয়ে রাখা।
৮. লাইনের ত্রুটি নিরসন না করে এসিআর/ওসিআর/ব্রেকারের মাধ্যমে ত্রুটিপূর্ণ লাইন চালুর চেষ্টা করা।
৯. যথাযথভাবে লাইন পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণ না করা।
১০. ফিডার/ইক্ইুপমেন্ট ওভারলোডেড থাকা।
১১. কানেক্টর না চেপে টুইষ্টিং করা।
১২. একাধিক ফিডার/উপকেন্দ্রের মধ্যে লোড বিভাজন/লাইন স্থানান্তরের বিষয়টি রেকর্ড না রাখা এবং সংশ্লিষ্টরা অবহিত না থাকা।
১৩. পুরাতন/জরাজীর্ণ লাইন রক্ষণাবেক্ষণ/নবায়ন না করা।
১৪. এসিআর/ব্রেকার এর সেটিং যথাযথ না থাকা। ট্রান্সফরমারে সঠিক সাইজের ফিউজ লিংক ব্যবহার না করা।
১৫. লুজ কানেকশন থাকা ও কন্ডাক্টর রেডহট হওয়া।
দুর্ঘটনার অকারিগরী কারণসমূহঃ
১. বিদ্যুৎ কর্মীদের অজ্ঞতা ও অবহেলা এবং এ বিষয়ে প্রতিনিয়ত চর্চা না করা।
২. অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ও কাজের সময় ভুল/শর্ট-কাট পদ্ধতি অবলম্বন করা।
৩. সঠিকভাবে রাইট অফ ওয়ে না করা ।
৪. লাইন ক্লিয়ারেন্স যথাযথ না থাকা। নির্ধারিত দূরত্ব না মেনে ঘরবাড়ি তৈরী এবং গাছ লাগানো।
৫. অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার, সাইড কানেকশন, মিটার ও সিটি/পিটি ট্যাম্পারিং ইত্যাদি।
৬. ওয়্যারিং-এ নি¤œমানের মালামাল ব্যবহার করা এবং ওয়্যারিং সঠিকভাবে না করা।
৭. কাজের পরিকল্পনা না থাকা এবং লাইন সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান না থাকা।
৮. শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ্য না থেকে লাইনে কাজ করা।
৯. নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি না করে কাজ আরম্ভ করা।
১০. পোল নাম্বারিং ও সিষ্টেমের তথ্যাদি আপডেট না রাখা।
১১. মাসিক নিরাপত্তা মিটিং/কারিগরী সেমিনারের সিদ্ধান্তসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালন না করা।
১২. বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনার বিষয়ে অজ্ঞতা অসাবধানতা উদাসীনতা ও সমন্বয়হীনতা।
১৩. নিরাপত্তা বিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন না করা এবং যানবাহন চালানোর ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন না মানা।
প্রাকৃতিক দুর্ঘটনার কারণসমূহঃ
প্রাকৃতিক কারণসমূহকে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে যেমন-
১. বাযুমন্ডলীয় দুর্যোগসমূহঃ
ঝড়, বজ্রপাত, ঘূর্ণিঝড়, কালবৈশাখী, টর্নেডো, হারিকেন, জলোচ্ছ্বাস।
২. ভূ-পৃষ্ঠের দুর্যোগসমূহঃ
বন্যা, নদীতীর ভাঙন, উপকূলীয় ভাঙন,ভূমিধ্বস, মৃত্তিকা ক্ষয়, অগ্নিকান্ড।
৩. ভূগর্ভস্থ দুর্যোগসমূহঃ
ভূমিকম্প এবং অগ্ন্যুৎপাত।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস